









বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন রকমের ভিডিও ভাইরাল হয়।এক ধরনের ভিডিও ভাইরাল হয়- যেগুলিতে নানা ধরনের গুণ যেমন নাচ, গান ইত্যাদি প্রকাশ হয়। বিভিন্ন রকম সেলিব্রিটিদের নানা ভিডিওকে এবং টিকটকার ও ইউটিউবার দের নানা ভিডিওকে ট্রোলড করে ভাইরাল হয় এক ধরনের ভিডিও।আর এক ধরনের ভিডিও তৈরি হয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে, ভাইরাল হয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে-এই ভিডিও গুলিতে নানারকম সামাজিক বার্তা দেওয়া থাকে। নানারকম মানবিক কাজ করার ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়ে যায় সহজেই। যেমন কোন দুঃস্থ মানুষকে সহায়তা , রাস্তার অবলা পশুকে খাদ্য দান করা ইত্যাদি ইত্যাদি।





সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি নানা রকম অমানবিক চিত্র ও দেখা যায় নানা। যাতে মানুষের অমানবিকতা, পৈশাচিকতা ফুটে ওঠে। যেমন অনেক সময় দেখা যায় কেউ অবলা কোন প্রাণীকে বেধড়ক মারছে, অনেক সময় দেখা যায় কেউ কুকুরের লেজের সাথে একটা বাজি পটকা বেঁধে দিয়েছে, বাজিটা ফাটছে আর কুকুরটা ভয়ে ছুটছে, কুকুর ,বিড়াল, গরু,হাতি ইত্যাদি প্রাণীকে খাবারের সঙ্গে বিষ অথবা পেরেক মিশিয়ে খাওয়ানোর মতো পৈশাচিকতার নজির ও কম নয়। সাম্প্রতিককালে একটি গর্ভবতী হাতি কেই বাজি ভর্তি আনারস খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছিলো কেরালায়।





আসলে সমাজে এই দুইরকমের মানুষ ই আছেন। এক ধরনের মানুষ নিজেদের আচার-আচরণে সত্তিকারের মানুষ হয়ে ওঠেন। তারা মানবিক নানারকম কাজকর্ম করে বেড়ান, তাদের মধ্যে সহৃদয়তা লক্ষ্য করা যায়, আরেক ধরনের মানুষ- মানুষ নামের কলঙ্ক, এরা মানুষের মতো দেখতে হলেও নানা রকমের পৈশাচিকতা করে বেড়ান। এর আগেও একবার দেখেছিলাম যে একজন ছোট্ট ছেলে ভিক্ষা করা টাকা থেকে একটি কুকুরকে খাবার কিনে খাওয়াচ্ছে-হৃদয় এমনই একটা জিনিস যা অভাবে পড়ে ও নষ্ট হয় না,শিক্ষা এমনি একটা জিনিস যা ডিগ্রী সার্টিফিকেট থাকে না,থাকে আচরণে।





সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিও টি ও মানবিকতার নজির রেখেছে। তাই ভিডিওটি নেটাগরিকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন প্রতিবন্ধী মানুষ যার নিজেরই হাত পা নাড়াতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু সেই কষ্ট সহ্য করেও সে বিস্কুটের প্যাকেট থেকে বিস্কুট বার করে একটা কুকুরের মুখে তুলে দিচ্ছে একটা একটা করে। কুকুরটির মুখটা ক্ষতবিক্ষত তাই তার খেতে অসুবিধা হচ্ছে, মানুষটি যখন নিজের ছোট হাত দিয়ে কুকুরটির মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন।
























