









কর্ণেল নিজামুদ্দিন নিজে গু’লি খেয়ে – কর্নেল নিজামুদ্দিন তার নামের আগে কর্নেল থাকলেও তিনি সেনাবাহিনীর কেউ নন। তিনি ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম পুরধা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছিলেন। তার আসল নাম সইফুদ্দিন। স্নেহ করে নেতাজি তাকে কর্নেল নামে ডাকতেন বলে জানা যায়। ভাবতেই অবাক লাগে এনার মত একজন মহান মানুষের নাম ইতিহাসের পাতায় নেই!





১৯৪৪ সালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্রবোসের অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা, গাড়ি চালক ও দেহ’রক্ষী কর্নেল নিজামুদ্দিন মিয়ানমারের জঙ্গলে নেতাজীর সাথে বসে চা পান করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ ধেয়ে এলো গু’লি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে লক্ষ্য করে। কর্নেল নিজামুদ্দিন নেতাজিকে সরিয়ে দিয়ে তার বুক পেতে নিলেন গু’লি। গু’লি নেতাজীকে বিদ্ধ করতে না পারলেও নিজামুদ্দিনের গোটা শরীরের বিদ্ধ হয়।





কর্নেল নিজামুদ্দিনের প্রকৃত নাম হলো সইফুদ্দিন। তবে কর্নেল নিজামুদ্দিন এর নাম টি দিয়েছেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। ১৯০৯ সালে আজম গড়ের মুবারকপুরের ঢাকুয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ইমান আলি সিঙ্গাপুরের ক্যান্টিন এর ব্যবসা করতেন। গ্রাম ছড়ে তিনি বাবার কাছে চলে যান। পরে সেখানে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৩ হতে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজে ছিলেন।





এরপর ধীরে ধীরে তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের খুব ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন। কর্নেল নিজামুদ্দিনকে প্রথমে দেহরক্ষী তারপর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেন নেতাজী। কর্নেল নিজামুদ্দিন নিজে গাড়ি চালিয়ে নেতাজীকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের বেতাই নদীর তীরে। সেখান হতে সাব মেরিনে চড়ে জাপান চলে যান নেতাজী। যাওয়ার সময় নেতাজী রেজিমেন্টের দ্বায়িত্ব দিয়ে যান কর্নেল নিজামুদ্দিনের ওপর। সেই দ্বায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যান কর্নেল নিজামুদ্দিন।





কর্নেল নিজামুদ্দিন নেতাজীকে বাঁচিয়ে নিজের শরীরে এগিয়ে দেন অথচ ইতিহাসের পাতায় তার কোন নাম নেই! বিষয়টি অত্যন্ত ভাবনার বিষয়। যে মানুষটি নিজের জীবন বাজি রেখে নেতাজীর মত একজন মহান মানুুষের জীবন বাঁচালেন অথচ ইতিহাসে তার কোন ঠাঁই হলো না।
























