







কচু দক্ষিন এশিয়া ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সুপরিচিত একটি সবজি। এর কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়।কচুর কাণ্ড ও পাতা-সবকিছুতেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।
কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিণ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।




নিয়মিত কচু শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-
১. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবে’ষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যা’ন্সার প্রতি’রোধ করা যায়। আরেক গবে’ষণা বলছে, কচু শাক স্ত’ন ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী।




২. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃষ্টি’শক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায়।
৩. কচু শাকে থাকা স্যাপোনিনস,টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্লাভোনয়েড উচ্চ রক্তচাপ কমায়।নিয়মিত কচু শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁ’কিও কমে।




৪. যেহেতু কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এ কারণে এটি শরীরের রো’গ প্রতিরোধ ক্ষ’মতা বাড়ায়।
৫. কচু শাক রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে নিয়মিত এই শাকটি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁ’কি কমে।
৬. কচু শাক হজমশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
৭. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় কচু শাক যেকোন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।




৮. যারা রক্তস্বল্পতায় ভূ’গছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কচু শাক খেলে কারও কারও অ্যালার্জির সম্ভাবনা বেড়ে যায় । শরীরে র্যা শ দেখা দেয়, চুলকানি হয়। এ কারণে যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের এই শাক খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত।
সূত্র : বোল্ড স্কাই




এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা…
এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা ঈশ্বর যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।”




একবার রাজা সেই চাকর সহ শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল হারান। রাগে- যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে চাকরের উদ্দেশ্য করে বলেন “ঈশ্বর যদি ভালোই হবেন তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।”




চাকর বলল, “এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব ঈশ্বর সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজই করেন; কোনো ভুল করেন না। চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত।




রাজা কে বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম দিলেন।




চাকরকে এনে বললেন, আল্লাহ আসলেই ভালো ৷ আমি আজ প্রমাণ পেয়েছি তার, আমি আজ প্রায় মরতেই বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
“তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। ঈশ্বর ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?”




চাকর বলল, “রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই ঈশ্বর যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।




গল্পের শিক্ষাঃ- সব কিছুর ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই দিক থাকে। কখনো নিরাশ হবেন না, যদি কোন কিছুতে সফলতা না পান তবে ইতিবাচক চিন্তা করুন। সফল না হওয়ার কারণে কি ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে না ভেবে কি লাভ হয়েছে তা দেখুন।



















