









এক অদম্য বাবার বাস্তব গল্প- পৃথিবী কতটা বাস্তব তা এই ছবিটিই বলে দেয়। নিজেদের স্থায়ী বাড়ি ছেড়ে জীবন জীবিকার তাগিতে চলে এসেছেন ব্যস্ত শহরে। যে শহরে কারো অন্য কারো দিকে তাকানোর সময় নেই। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। জীবিকার তাগিতে হাতে তুলে নিয়েছেন জুতার কালি, সুঁই সুতা। চোখে স্বপ্ন জাগে সন্তানরা যেন তার মতো ক’ষ্ট না করে।





সেই ইচ্ছেকে সামনে রেখে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন স্কুলে। নিজের জীবন উজ্জ্বল করার ইচ্ছা থাকলেও তা পারিপাশ্বির্ক অবস্থার প্রেক্ষিতে সম্ভব হয়। তাই ছেলের জীবনকে উজ্জ্বল করতে বাবার এই অদম্য ইচ্ছা। আর তাই তিনি জুতো সেলাইয়ের পাশাপাশি নিজের সন্তানকে করছেন পাঠ দান। এতে তার কোন লজ্জা বা বিরক্তি নেই।





গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়, তার নাম প্রাণেশ রিসি। জীবনের তাগিতে শহরে চলে এসেছেন পরিবারসহ। মিরপুর ১৩ নম্বরে ভাড়া থাকেন একটি ঝুপড়ির মধ্যে। সেখান হতে প্রতিদিনের বেঁ’চে থাকার সংগ্রাম করতে হয় প্রাণশ রিসিকে। তাই তো সকাল হলেই হাতে জুতোর কালি, সুঁই, সুতো, কাজ সারাইরে প্রয়োজনীয় উপকরণ এক হাতে অপর হাতে ছেলেকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন।





প্রাণেশ রিসি রাজধানীল সেগুবাগিচা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মুচির কাজ করে আসছেন। তার ছেলেকে ভর্তি করিয়েছে সেগুনবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার ছেলের নাম নক্ষত্র। সে এখন ২য় শ্রেণীতে পড়ছেন। সন্ধ্যা হলে ফিরে যান মিরপুর ১৪ নম্বরে, তবে তার আগে স্কুল ছুটির পর নিজের পাশে বসিয়ে ছেলেকে পড়া দেখিয়ে দেন।





প্রাণেশ রিসির সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ছেলেকে তিনি নিজের অবস্থায় দেখতে চান না। ছেলে যেন নিজের ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারে সেই স্বপ্নই তার। এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই তার। তবে তা অবশ্যই সৎ পথে থেকে। তিনি নিজে যেমন অন্যায় টাকা খান না, তার ছেলেও যেন অন্যায় টাকা কখনো ছুঁয়েও না দেখে।
























