Home / Hindu / এই ৫টি গোপন সত্য শিব জানিয়েছিলেন পার্বতীকে! আপনিও জেনে রাখুন

এই ৫টি গোপন সত্য শিব জানিয়েছিলেন পার্বতীকে! আপনিও জেনে রাখুন

একদা পার্বতী শিবকে মানব চরিত্র সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করেন। এবং শিব সেগুলির যথাযথ উত্তর দেন। এই প্রশ্নোত্তরগুলিকে মানব জীবনের গোপন সত্য বলে অভিহিত করে বিবিধ শৈবাগম। সনাতন ধর্মে শিব পরাশক্তির প্রতীক এবং পার্বতী বা দেবীশক্তি বৈখরী শক্তির।

সহজ করে বললে, শিব এমনই এক সত্য যাঁর প্রকাশ নেই। বৈখরী শক্তি সেই সত্যের প্রকাশ ঘটান। সত্য, শিব ও সুন্দর প্রকাশিত হয় বাক্যে, যার অধিষ্ঠাত্রী স্বয়ং জগন্মাতা। ‘শিবপুরাণ’ ও বিবিধ তন্ত্রগ্রন্থে হরপার্বতীর কথোপকথনকে বিপুল গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সংলাপই জগৎ-রহস্যকে উন্মোচন করে বলে বিশ্বাস করে সনাতন হিন্দু ধর্ম।

এমনই এক সংলাপ থেকে জানা যাচ্ছে, একদা পার্বতী শিবকে মানব চরিত্র সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করেন। এবং শিব সেগুলির যথাযথ উত্তর দেন। এই প্রশ্নোত্তরগুলিকে মানব জীবনের গোপন সত্য বলে অভিহিত করে বিবিধ শৈবাগম। এখানে রইল সেই প্রশ্নোত্তর থেকে প্রাপ্ত ৫টি সত্যের কথা।

• পার্বতীর প্রশ্ন ছিল, মানব জীবনে সব থেকে বড় পুণ্য আর সবথেকে ঘৃণ্য পাপ কী। উত্তরে শিব জানান, সত্যনিষ্ঠ থাকাই মানব জীবনে সব থেকে বড় পুণ্য। এর সত্যভ্রষ্ট হওয়াই সব থেকে বড় পাপ।

• নিজেকে কীভাবে সত্যনিষ্ঠ রাখা যায়— পার্বতীর পরবর্তী প্রশ্ন। শিবের উত্তর ছিল— আত্মপর্যবেক্ষণই সত্যের পথে অবিচল থাকার একমাত্র পথ। নিজের উপলব্ধিই মানুষের অন্তরে ঔচিত্য-অনৌচিত্য বোধ জাগায়।

• প্রসঙ্গক্রমে শিব জানান, যে সব বাক্য, কর্ম ও চিন্তা মনে পাপচিন্তার উন্মেষ ঘটায়, তা থেকে দূরে থাকাই সত্যনিষ্ঠার জন্ম দেয়।

• আসক্তি থেকেই যাবতীয় সমস্যার উদ্ভব বলে জানান মহাদেব। আসক্তিই মানুষকে পিছনের দিকে টানে। তার সাফল্যে বাধা দেয়। মানব জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বের কথা ভেবে আসক্তিকে পরিহার করাই উচিত।

• এর পরে শিব পার্বতীকে ‘মৃগতৃষ্ণা’-র কথা বলেন। মৃগতৃষ্ণা বা বাসনার তীব্র বোধ যাবতীয় দুঃখ-দুর্দশার জন্ম দেয়। এক মাত্র ধ্যান ও মোক্ষচিন্তাই মৃগতৃষ্ণা থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে পারে।

Check Also

তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাহাত্ম্য

তারা মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট অব্যর্থ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হন রোগীরা, রয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাহাত্ম্য ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *