পুজোর সময়ে হাতে টাকা থাকলে কার না ভালো লাগে। আর উৎসবের তো সবে শুরু। এখনও লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটা বাকি রয়েছে। তাই খুব সহজ উপায়ে যদি হাতে বেশ কিছু টাকা মেলে, তবে ক্ষতি কি।
সেরকমই সুযোগ রয়েছে আপনাদের সামনে। কথায় বলে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। এখানেও খানিকটা তাই। এখানে পুরোনো টাকা পরিমাণে বাড়ের মত বিষয়। কয়েন বা টাকা যত পুরোনো হয়, তা তত অ্যান্টিক হয়ে ওঠে। একথা সবাই জানেন যে অ্যান্টিক কোনও দ্রব্যের কত মূল্য হতে পারে।
এই সব পুরোনো কয়েনের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবল চাহিদা। মোটা টাকা দিয়ে এই অ্যান্টিক কয়েন বা নোট কেনেন বহু মানুষ। এইরকম নোট বা কয়েন বাড়িতে থাকলে ফেলে না রেখে তা বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট।
যদি আপনার কয়েন জমানোর নেশা থাকে, এবং আপনার কাছে বেশ কিছু পুরোনো কয়েন বা নোট থাকে, তবে খুব সহজেই আপনি লাখপতি হয়ে যেতে পারেন।
মিডিয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে যদি আপনার কাছে ৫ বা ১০ টাকার বিশেষ কয়েন থাকে, যার মধ্যে বৈষ্ণোদেবীর ছবি খোদাই করা রয়েছে, তবে আপনার সামনে টাকা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এগুলি আপনি নিলামে তুলতে পারেন। ২০০২ সালে কেন্দ্রের তরফ থেকে এই কয়েনগুলি প্রকাশ করা হয়েছিল। বর্তমানে এগুলির প্রবল চাহিদা।
এছাড়াও যদি কোনও নোটের সিরিজ ৭৮৬ দিয়ে হয়, তবে তাও বিকোবে উচ্চ হারে। মুসলিম সমাজে এই নম্বরের সিরিজের নোটের বহুল চাহিদা রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বাজারে এখন চারিদিকে নতুন নোটের ছড়াছড়ি। পুরোনো নোট প্রায় চোখেই পড়ে না।
এই পরিস্থিতিতে যদি একটি বিশেষ পুরোনো ১০ টাকার নোট আপনার কাছে থেকে থাকে, তবেই কেল্লাফতে। সেখান থেকেই অর্থাৎ সেটি বিক্রি করেই টাকা পেতে পারেন আপনি। এমন একটি ১০ টাকার নোট আপনার কাছে থাকতে হবে, যা ভারতের বাজারে বহু আগে সচল ছিল।
যার মধ্যে তিনটি সিংহের মুখ ছাপা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অশোক স্তম্ভ। এই ধরণের নোট ব্রিটিশ শাসন কালে ব্যবহার করা হত। যদি আপনার কাছে এরকম নোট থাকে, তবেই ভাগ্য ফিরবে আপনার।
এই নোট বিক্রি করে আপনি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন। অনলাইনে এই বিশেষ ১০টাকার নোট বিক্রি করতে পারেন আপনি।
বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা এই পুরোনো নোট কিনে নেয় ভালো দামে।
এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ামার্ট, শপক্লুস, মরুধর আর্টসের মতো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এঁদের কাছে ওই বিশেষ নোট বিক্রি করে ভালো দাম পেতে পারেন যে কেউ।